তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরন
ইউনিয়ন পরিষদ তৃণ্মূল পর্যায়ে জনগনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিমূলক প্রতিষ্ঠান । ব্রিটিশ আমলে ১৮৭০ সালে এ প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয় । সূচনা থেকে বর্তমান পর্যন্ত সময়ের চাহিদা পূরনের জন্য বিভিন্ন সময় আইন প্রনয়ন করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম যথেষ্ট পরিবর্তন আনা হয়েছে । আর তারই পরিপেক্ষিতে ইউনিয়নের জনগনের উন্নয়ন ও আমূল পরিবর্তন আনার জন্য সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য সচেষ্ট ও অব্যাহত রয়েছে ।
তেতুলিয়া ইউনিয়নঃ
আয়তন ও জনসংখ্যাঃ
তেতুলিয়া ইউনিয়নের আয়তন প্রায় ৩৫ বর্গ কিলোমিটার বা ৬৫৪১. ৭৬একর । ইউনিয়নটির উত্তর-দক্ষিন সীমানা সামান্য একটু লম্বা । ইউনিয়নের উত্তর এবং পশ্চিমাংশে যশোর জেলার কেশোবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন, পুর্বে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন এবং তালা সদর ইউনিয়ন, দক্ষিনে তালা সদর ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন,পশ্চিমে কেশোবপুর উপজেলার
বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন ও তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত ।
ইউনিয়নের মোট গ্রামের সংখ্যা ১৭টি।গ্রাম গুলো যথাক্রমে আড়ংপাড়া,তেরছি,ধলবাড়িয়া,কলাপোতা,হাতবাস,লাউতাড়া,শিরাশুনী,সুভাষিনী,পাঁচরোখি,
লক্ষনপুর,মদনপুর,সুমুজদিপুর,তেঁতুলিয়া,সুকদেবপুর,দেওয়ানিপাড়া,কলিয়া এবং নওয়াপাড়া । মোট পরিবারের সংখ্যা-৬২২৭,জনসংখ্যা-২৩৪০৭।
জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ ভাগ দরিদ্রসীমার মধ্যে বাস করে ।
শিক্ষার অবস্থাঃ
ইউনিয়নের বর্তমান শিক্ষার হার ৪৫.৯১% সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা-১১টি,বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা-৮টি,উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা-৩টি, জুনিয়র স্কুল-৪টি,গালর্স স্কুল--১টি,বিভিন্ন ধরনের মাদ্রাসা ১১টি ও কলেজ ১টি ।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানঃ
ইউনিয়নে বিভিন্ন ধরনের মসজিদ রয়েছে ৫২টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঐতিহ্যবাহী তেঁতুলিয়া মসজিদ । মন্দির রয়েছে ১০টি, গীর্জা রয়েছে ৪টি, শ্মাশানঘাট ৩টি ।
কৃষিঃ
তেতুলিয়া ইউনিয়ন কৃষি নিরর্ভর এলাকা । ফসলী জমীর পরিমান-৯৬০একর,দুই ফসলী জমি ৩৬৫একর। কৃষির প্রধান সমস্যা জল্যাবদ্ধতা,শুকনো মৌসুমে খরা এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ দ্বারা ফসল বিনষ্ট হয়ে যায় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস